News 22 Online

অনেক চেষ্টা করেও মেটেনি অর্থ কষ্ট! সোমবার করুন এই ব্যবস্থা, ফিরবে ভাগ্যের দিশা

কঠোর পরিশ্রম করেও আর্থিক সংকট দূর না হলে কোন ৩ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ ফেরাতে পারে ভাগ্যের মুখ, জেনে নিন এখান থেকে।

সনাতন ধর্মে, সোমবারকে মহাদেবের পুজোর দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কথিত আছে যে, যারা সোমবার আচার-অনুষ্ঠান করে ভগবান শিবকে স্মরণ করেন, তাদের জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায় এবং তারা পুণ্য ফল পায়। এই দিনে কিছু জ্যোতিষশাস্ত্রীয় প্রতিকার করলে, না হওয়া কাজও হয়ে যেতে শুরু করে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপায় গুলো কী কী। 

আপনি যদি আপনার চারপাশে নেতিবাচক শক্তি অনুভব করেন, তবে সোমবার ব্রহ্ম মুহূর্তে ঘুম থেকে উঠুন এবং স্নানের পর কাছের শিব মন্দিরে যান। সেখানে ভোলেনাথ কে দর্শনের পর শ্বেত চন্দন, ধুতরা, গঙ্গাজল, দুধ, কাঁচা চাল, আকন্দ, কালো তিল এর সঙ্গে মিশিয়ে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন। এর পরে মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র এবং শিব রক্ষা স্তোত্র পাঠ করুন। এটি করলে জীবনে ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।

আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে: জীবনে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে, ব্রহ্ম মুহূর্তে শিব মন্দিরে গিয়ে আখের রস দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করা উচিত। এর পর রুদ্রাক্ষ জপমালা দিয়ে সকাল ও সন্ধ্যায় ওম নমো ধনদায় স্বাহা মন্ত্রটি জপ করুন। এতে করে আর্থিক সমস্যা দূর হতে থাকে।

চাকরি ও ব্যবসা বাড়াতে: চাকরি বা ব্যবসায় উন্নতি চাইলে মন্দিরে গিয়ে পঞ্চামৃত দিয়ে শিবলিঙ্গে অভিষেক করুন। এরপর তামার পাত্রে শিবলিঙ্গে দেওয়া কিছু দুধ ভরে নিন। এর পর সেই দুধ আপনার কাজের জায়গায় ছিটিয়ে দিন। কথিত আছে, এতে করে কেরিয়ারে গতি আসে। 

সোমবার কীভাবে শিবের পুজো করবেন: সোমবার মন্দিরে গিয়ে শিবলিঙ্গে দুধ মিশিয়ে জল নিবেদন করুন। এর পর মহাদেবকে গৌরী-শঙ্কর রুদ্রাক্ষ নিবেদন করুন। তারপর ঘি, চিনি এবং গমের আটা নিবেদন করুন এবং সেখানে আরতি করুন। এরপর প্রদোষে চাল, দুধ, রৌপ্য ইত্যাদি দান করুন। কথিত আছে, এতে ভোলেনাথের আশীর্বাদে সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়।

কোন কোন নিয়ম মেনে

পুজো করতে হবে? জেনে নিন। 

১। ১৬টি সোমবার মহাদেবের ব্রত পালনের প্রথম শর্ত হল, এই দিনগুলিতে উপবাস করেই পুজো করতে হবে। 

২। সকাল সকাল স্নান সেরে পুজোয় বসতে হবে। সাদা পোশাক পরে এই পুজো করা উচিত। 

৩। বাড়িতে যদি মহাদেবের মূর্তি না থাকে, তাহলে অসুবিধা নেই। পুজোর নিয়ম পালনের জন্য মহাদেবের ছবি নিয়েও উপাচারগুলি পালন করতে পারেন।

৪। পুজোর সময়ে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যে ঘরে পুজো করছেন বা ঠাকুর ঘরের মুখ যেন উত্তর পূর্ব দিকে হয়। পুজোর জন্য শিবঠাকুরের মূর্তি বা ছবিটিকে উত্তর মুখ করে রাখবেন। এই অবস্থায় তাঁর সামনে পুজোয় বসবেন।

৫। পুজোর সময়ে সোমবারের ব্রতকথা পাঠের মতো করে ‘ওঁং নমঃ শিবায় মন্ত্র’ পাঠ করতে হবে।

৬। মহাদেবের আরাধনার সময় পুজোর থালায় কী কী রাখবেন, সেটিও জেনে নেওয়া দরকার। বেলপাতা, চাল, ফুল, ধুতরো, প্রদীপ, ধূপ, চন্দন, দুধ, কর্পূর রাখতে হবে। এর পরে নিষ্ঠা নিয়ে পুজোয় বসতে হবে।

৭। শ্রাবণ মাসের সোমবারগুলিতে যেভাবে শিবের আরাধনা করেন, সেইভাবে ১৬ সোমবার ব্রত রাখতে হবে। 

৮। সারা দিন উপবাস করে থাকতে হবে। সন্ধ্যায় মহাদেবের মাথায় জল ঢেলে শেই উপবাস ভাঙতে হবে। 

৯। উপবাস শেষ হলে নুন ছাড়া খাবার খেতে হবে। ফল বা দুধজাতীয় খাবার খাওয়াই এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো। 

১০। টানা ১৬টি সোমবার এই পুজো করতে হবে। মাঝে কোনও সোমবার বাদ দিলে চলবে না। 

News22online

News22online 7980852530

1 thought on “অনেক চেষ্টা করেও মেটেনি অর্থ কষ্ট! সোমবার করুন এই ব্যবস্থা, ফিরবে ভাগ্যের দিশা”

  1. Usually I do not read article on blogs however I would like to say that this writeup very compelled me to take a look at and do so Your writing taste has been amazed me Thanks quite nice post

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *